ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, গত ২৪ ঘন্টায় মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কথিত ‘বন্দুক যুদ্ধে’ মাদক ব্যবসা ও পাচারের সাথে জড়িত ছয় জন লোক নিহত হয়েছে।
বলা হয়, শনিবার থেকে রোববারের মধ্যে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, যশোর, বরিশাল ও ফেনী জেলায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ মাসের চার তারিখ থেকেই পুলিশ ও র্যাব মিলে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে।
এই অভিযানে গত ১৫ দিনে বিশেষ পুলিশ র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আরো ১২ জন নিহত হয়েছে। এর ফলে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হবার পর রোববার পর্যন্ত মোট ১৮ জন নিহত হবার কথা নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতরা সবাই মাদকব্যবসা এবং পাচারের সাথে জড়িত এবং চিহ্নিত অপরাধী। তাদের নামে মামলাও রয়েছে বলে জানান তারা।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযান চালানোর সময় মাদকব্যবসায়ী বা পাচারকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাল্টা গুলি ছুঁড়েছে। এর পর আত্মরক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, মাদকব্যবসার সাথে সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজরা জড়িত হয়ে পড়েছে এবং যেখানেই তাদের চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে সেখানেই তারা আক্রমণ করে বসছে।
“আক্রমণ করলে তো পাল্টা আক্রমণ হবেই, সেই কাউন্টার এ্যাটাকেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে” – বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবাসহ অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মি. খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেভাবে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা ঠেকাতে তারা বহুভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে রোববার মাদকবিরোধী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে মানুষকে সচেতন করতে আজ নিরাপত্তা বাহিনী ঢাকায় স্টিকার বিতরণ কর্মসূচি পালন করে।
পাঠকের মতামত